মুঘল সাম্রাজ‍্যের পতনের কারণ | মুঘল সাম্রাজ্যের কেন পতন ঘটেছিল

ভারতের ইতিহাসে যে কয়টি ঘটনা বইয়ের পাতায় উল্লেখের দাবি রাখে, মুঘল সাম্রাজ্যের পতন তাদের মধ্যে অন্যতম। ১৫২৬ সালে  পানিপথের প্রথম যুদ্ধে বাবরের ভারত আক্রমণের দ্বারা দিল্লির তৎকালীন সুলতান লোধি বংশের ইব্রাহিম লোধির সাম্রাজ্যের পতনের মাধ্যেম যে মুঘল বংশের শাসনের সূচনা ঘটে, বিভিন্ন কারণে ১৭৭১ সালের মধ্যে তার পতন ঘটে।

নিম্নলিখিত আলোচনায় মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের বিভিন্ন কারণ সবিস্তারে বর্ণনা করা হয়েছে -

মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের প্রকৃত কারণ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ঐতিহাসিকদের মতে যথেষ্ঠ মতভেদ রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ঐতিহাসিকগণ মুঘল সাম্রাজ‍্যের বিশাল ব্যপ্তি, ঔরঙ্গজেবের বিতর্কিত ধর্মনীতি, অন্তিম পর্যায় মুঘল সম্রাটদের শাসনের দুর্বলতা ও বৈদেশিক আক্রমন (বিশেষ করে ইংরেজদের আক্রমণ) ইত্যাদি কারণকে মুঘল সাম্রাজ‍্যের পতনের কারণ হিসাবে দায়ী করেছেন। আধুনিক ঐতিহাসিকরা উপরিউক্ত কারণগুলিকে গুরুত্ব দিলেও, তারা নতুন কিছু কারণের উল্লেখ করেছেন। বলা বাহুল্য, মুঘল সাম্রাজ‍্যের পতন পেছনে শুধুমাত্র একটি বা দুটি কারণ দায়ী ছিল না বা একদা প্রায় সমগ্র ভারত জুড়ে বিস্তৃত মুঘল সাম্রাজ্যের পতন রাতারাতি  কোনমতেই হয়নি।

মুঘল সাম্রাজ‍্যের পতনের কারণ

মুঘল সাম্রাজ‍্যের পতনের কারণ-

সাম্রাজ‍্যের বিশালতা:

মুঘল সাম্রাজ‍্যের বিশালতা তার পতনের অন‍্যতম কারণ হিসাবে চিহ্নিত। আকবরের আমলে যে সাম্রাজ‍্যবাদী নীতির সূচনা হয়, ঔরঙ্গজেবের আমলে তা পরিপূর্ণতা লাভ করে। যোগাযোগ ব‍্যবস্থার অপ্রতুলতার ঐ দিনে দিল্লি থেকে সমগ্র সাম্রাজ‍্যের উপর নিয়ন্ত্রন বজায় রাখা অসম্ভব ছিল। এই অবস্থার সুযোগ নিয়ে প্রাদেশিক শাসনকর্তারা প্রায়‌ই দিল্লির কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করত। দূরবর্তী প্রদেশগুলির এইসব বিদ্রোহ দমন সত‍্যিই খুব কষ্টসাধ‍্য ছিল।

উত্তরাধিকার-সংক্রান্ত দ্বন্দ:

মুঘলদের কোন সুস্পষ্ট উত্তরাধিকার আইন ছিলনা। এই কারনে কোন সম্রাটের মৃত‍্যু হলে তার পুত্র‌ই সিংহাসন দাবিদার হতেন এবং সাম্রাজ‍্যের উত্তরাধিকার সংক্রান্ত ভ্রাতৃঘাতী দ্বন্দ শুরু হত। ঔরঙ্গজেবের মৃত‍্যুর পর এ ধরনের উত্তরাধিকার দ্বন্দ প্রবল আকার ধারন করে এবং ১৭০৭ থেকে ১৭১৯ খ্রিষ্টাব্দ - মাত্র তের বছরের মধ‍্যে ছয়জন সম্রাট সিংহাসনে বসেন। বিভিন্ন আমির-ওমরাহ ও রাজকর্মচারীরা এইসব দ্বন্দে অংশগ্রহন করলে অবস্থা জটিলতর হয়ে ওঠে। 

দুর্বল উত্তরাধিকার:

মুঘল সাম্রাজ‍্য স্বৈরাচারী ও সামরিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিল। এ ধরনের শাসনব‍্যবস্থার সাফল‍্য বহুলাংশে সম্রাটের ব‍্যক্তিত্ব ও যোগ‍্যতার ওপর নির্ভরশীল। ঔরঙ্গজেবের উত্তরাধিকারীদের অধিকাংশ‌ই ছিলেন অযোগ‍্য, অপদার্থ ও বিলাসপ্রিয়। ৬৩ বছর বয়সে সিংহাসনে বসে বৃদ্ধ ও বিলাসপ্রিয় বাহাদুর শাহ -র পক্ষে কিছু করা সম্ভব ছিলনা। পরবর্তী সম্রাট জাহান্দার শাহ সুরা ও নর্তকীদের নিয়েই ব‍্যস্থ থাকতেন। সম্রাট ফারুকশিয়ার অতিমাত্রায় প্রমোদাসক্ত ছিলেন। মহম্মদ শাহ ছিলেন 'সর্বপ্রকার বিলাসের প্রতি অনুরক্ত'। এইসব অলস, অকর্মণ‍্য ও ব‍্যভিচারী সম্রাটদের হাতে পড়ে মুঘল স্রাম্রাজ‍্যের প্রাণশক্তি একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায়।

অভিজাত শ্রেণীর অবক্ষয় ও গোষ্ঠীদ্বন্দ:

মুঘল যুগের সূচনা-পর্বে অভিজাত সম্প্রদায় ছিলেন সাম্রাজ‍্যের স্তম্ভস্বরুপ। ঔরঙ্গজেবের মৃত‍্যুর পর মুঘল রাজপরিবারের অবনতির সঙ্গে সঙ্গে মুঘল অভিজাত সম্প্রদায়ের মধ‍্যেও চরম অবক্ষয় দেখা দেয়। সাম্রাজ‍্যের মঙ্গলের কথা চিন্তা না করে  তারা ব‍্যক্তিগত ও গোষ্ঠিগত স্বার্থ-সিদ্ধির জন‍্য দলাদলি ও ষরযন্ত্রে লিপ্ত হতে শুরু করে‌। ঔরঙ্গজেবের জীবদ্দশায় দরবারে ইরানি, তুরানি ও হিন্দুস্থানী নামে তিনটি গোষ্ঠির আবির্ভাব হয়। ১৭০৭ খ্রিষ্টাবে ঔরঙ্গজেবের মৃত‍্যুর পর উত্তরাধিকার সংক্রান্ত যুদ্ধ শুরু হলে তিন গোষ্ঠির মধ‍্যে তৎপরতা শুরু হয় এবং বিভিন্ন গোষ্ঠি বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দীর সমর্থনে এগিয়ে আসে। সম্রাট বাহাদুর শাহ ও জাহান্দার শাহের আমলে ইরানি গোষ্ঠির নেতা জুলফিকার খাঁ ও আসাদ খাঁ সাম্রাজ‍্যের সর্বেসর্বা হয়ে ওঠেন এবং তাঁরাই সম্রাটকে নিয়ন্ত্রন করতেন। ফারুখশিয়র দিল্লির সিংহাসনে বসলে সৈয়দ আবদুল্লাহ খাঁ ও সৈয়দ হুসেন আলির নেতৃত্বে হিন্দূস্থানি গোষ্ঠী সর্বেসর্বা হয়ে ওঠে। পরবর্তীকালে তুরানি গোষ্ঠির নেতা আমিন খাঁ ও চিনকিলিচ খাঁ  তাদের ক্ষমতাচ‍্যুত করেন। ডঃ সতীশচন্দ্র বলেন যে, এধরনের দলাদলি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও স্থায়িত্বের পক্ষে শুভ হয়নি। এর ফলে জাতীয় জীবন দুর্নিতীগ্রস্থ ও অক্ষম হয়ে পড়ে, রাষ্ট্রের স্বার্থ বিঘ্নিত হয় এবং রাষ্ট্র দ্রুত পতনের দিকে অগ্রসর হয়। 

অর্থনেতিক বিপর্যয়:

অর্থনৈতিক বিপর্যয় ও মুঘল সাম্রাজ‍্যের পতনের অন‍্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসাবে বিবেচিত হয়। সম্রাট আকবর মুঘল সাম্রাজ‍্যের একটি সুদৃঢ় আর্থিক কাঠামো গঠন করলেও তার উত্তরাধিকারীদের হাতে তা ধ্বংষপ্রাপ্ত হয়। দরবারে বিশাল জাঁকজমক, রাজপরিবারের বিলাসিতা, সম্রাটদের স্থাপত‍্যনুরাগ, অভিজাতবর্গের উচ্চ বেতন ও অন‍্যান‍্য সুযোগ-সুবিধা এবং সেনাবাহিনীর বিশাল ব‍্যয়ভার সাম্রাজ‍্যের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে দেয়। শাহজাহানের জাঁকজমক ও আড়ম্বরপ্রিয়তার ফলে রাজকোষ শূন‍্য হয়ে যায়। 

জায়গিরদারি সংকট:

ড. সতীশচন্দ্রের মতে, সাম্রাজ‍্যের পতনে জাইগিরদারি সংকটের ভূমিকা খুব‌ই গূরুত্বপূর্ণ। মুঘল যুগের বহু মনসাবদারকে নগদ বেতনের পরিবর্তে জায়গির দেওয়া হত এবং এই জায়গিরদারি‌ ব‍্যবস্থাই বহুলাংশে মুঘল শাসনব‍্যবস্থার ভিত্তি ছিল। ঔরঙ্গজেবের রাজত্বকালের শেষ দিকে জায়গিরদারি ব‍্যবস্থা প্রবল সংকটের সম্মুখীন হয়। যদিও এই সংকটের সুত্রপাত হয়েছিল জাহাঙ্গীরের আমলেই‌। ঔরঙ্গজেবের রাজত্ববকালে মনসবদারের সংখ‍্যা প্রচুর বৃদ্ধি পায়, কিন্তু বন্টনযোগ‍্য জমির পরামান সে তুলনায় বৃদ্ধি পায়নি। এছারা, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অশান্ত দাক্ষিনাত‍্য থেকে জায়গিরদাররা কখন‌ই পুরোপুরি রাজস্ব আদায় করতে পারত না। এ কারনে সকলেই উত্তর ভারতে উর্বর জায়গির পেতে চাইত। বলা বাহুল‍্য, এ সমস‍্যার সমাধান করা সম্ভব ছিল না। জায়গির প্রার্থী মনসবদারকে জায়গিরের জন‍্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হত এবং জায়গির পেলেও সর্বদি 'জমা' ও 'হাসিল' এর মধ‍্যে সামঞ্জস‍্য হত ন। এমতবস্থায় ভাল জায়গির পাওয়ার জন‍্য মনসবদারদের মধ‍্যে দলাদলি চরমে ওঠে, জাতি ও ধর্মের সুপ্ত মনোভাব জাগিয়ে তোলা হয়। জায়গির না পাওয়ায় বা নিম্নমানের জায়গির পেয়ে 'জমা' ও 'হাসিল' -এর মধ‍্যে সামঞ্জস‍্য না হ‌ওয়ায় সাম্রাজ‍্যের নানা দুর্নীতি ও অনচার দেখা দেয় এবং এর ফলে সাম্রাজ‍্য দুর্বল হয়ে পড়ে।

কৃষক বিদ্রোহ:

ড. ইরফান হাবিব মনে করেন যে, মুঘল সাম্রাজ‍্যের পতনের অন‍্যতম প্রধান কারন। এসময় জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছিল, কিন্তু জায়গিরদারদের আয় বৃদ্ধি পায়নি। এছারা, জায়গিরের ওপর জায়গিরদারের অধিকার স্থায়ী ছিল না– কয়েক বছরের মধ‍্যেই তাকে অন‍্যত্র বদলি করা হত। এ কারনে সব জায়গিরদার‌ই চাইত যতটি বেশি সম্ভব রাজস্ব আদায় করতে। এর ফলে অনেকেই যুদ্ধ অপেক্ষা রাজস্ব আদায়েই বেশি মনযোগী ছিল। এতে দরিদ্র কৃষকের ওপর অত‍্যাচার ও শোষণের মাত্রাই বৃদ্ধি পেত এবং তারা কৃষিকার্য পরিত‍্যাগ করে পলায়ন করত। অনেক সময় অত‍্যাচারিত জমিদার ও কৃষকরা সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করত। মুঘল যুগের শেষ পর্ব হল জাঠ, শিখ, সৎনামি– এই সব কৃষক বিদ্রোহের ইতিহাস। এই সব বিদ্রোহ সাম্রাজ‍্যের সংহতির মূলে প্রবল আঘাত হানে। 

শিল্প-বাণিজ‍্যের বিনাশ:

মুঘল যুগে কৃষির অবনতি ঘটলেও অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিকল্প পথ ছিল শিল্প-বানিজ‍্যের উন্নতি। এদিকে মুঘল বাদশাহের বিশেষ নজর ছিল না। রাজপু্রুষরা বণিক ও কারিগরদের ওপর নানা ধরনের জুলুম চালাতেন। ঔরঙ্গজেবের পরবর্তীকালে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির ফলে শিল্প-বাণিজ‍্যে মন্দা ভাব দেখা দেয়। যোগাযোগ ব‍্যবস্থার অভাব, শিল্পে উন্নততর আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণে অনাগ্রহ এবং বহির্বাণিজ‍্য ও নৌ-বাণিজ‍্যের প্রতি উপেক্ষা ভারতীয় শিল্প-বাণিজ‍্যকে ধ্বংষের পথে ঠেলে দেয়। 

সামরিক দুর্বলতা:

সামরিক দক্ষতার অভাব মুঘল সাম্রাজ‍্যের পতনের অন‍্যতম কারণ। এর সঙ্গে তুলনা করলে অন‍্যান‍্য ত্রটি বা দুর্বলতার কোন‌ও গুরুত্ব‌ই নেই। মুঘলদের সামরিক সংগঠন ছিল খুব‌ই ত্রুটিপূর্ণ। 

১) তুর্কি, আফগান, রাজপুত এবং বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির মানুষ নিয়ে গঠিত মুঘল বাহিনী কখন‌ই 'জাতীয় বাহিনী' হিসাবে গড়ে উঠতে পারেনি। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির মানুষ নিয়ে গঠিত হ‌ওয়ায় তাদের মধ‍্যে কোন সংহতি গড়ে ওঠেনি এবং তাদের রণকৌশল‌ ও ছিল ভিন ভিন্ন।

২) যুদ্ধকালে সেনা সরবরাহের জন‍্য মুঘলরা মনসবদারদের ওপর নির্ভর করত। তাই সেনাদের আনুগত‍্য থাকত নিজ নিজ প্রভু মনসবদারদের প্রতি। 

৩) নির্দিষ্ট পরিমাণ সেনা রাখার শর্তে মনসবদারদের প্রতি – সম্রাট বা রাষ্ট্রের প্রতি নয়।

৪) মুঘল সেনাবাহিনীর গতি ছিল অতি শ্লথ। হাট-বাজার, হারেম, নর্তকী, বিলাশের সব উপকরণ নিয়ে মুঘল সেনাবাহিনী বিশৃঙ্খলভাবে এগিয়ে চলত। সেনাবাহিনীতে, অসামরিক লোকজনের সংখ‍্যাধিক‍্য থাকায় তা একটি বিশৃঙ্খল জনসমষ্টিতে পরিণত হয়, যার পক্ষে কোনভাবেই দ্রুতগতিসম্পন্ন মারাঠাদের মোকাবিলা করা সম্ভব ছিল না। 

৫) মুঘলদের যুদ্ধাস্ত্র,কামান ও লণকৌশল — সব‌ই ছিল পুরানো ধাঁচের ও নিম্নমানের।

জাতীয়তাবোধের অভাব:

জনসাধারণের মধ‍্যে জাতীয়তাবোধ বা দেশপ্রেমের অভাব মুঘল সাম্রাজ‍্যের পতনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারন। সে যুগে দেশবাসীর মধ‍্যে সাংস্কৃতিক ঐক‍্যবোধ গড়ে উঠলেও কোনপ্রকার রাজনৈতিক সংহতি গড়ে ওঠেনি। মানুষের আনুগত‍্য ছিল ব‍্যক্তি, গোষ্ঠি, বর্ণ, বা ধর্মের প্রতি– দেশের প্রতি নয়।

ঔরঙ্গজেবের ব্যর্থতা:

মুঘল সাম্রাজ‍্যের পতনে ঔরঙ্গজেবের ভ্রান্ত নীতির গুরুত্বকে কোনভাবেই অস্বিকার করা যায়না। ইসলামিক ধর্মরাজ‍্য প্রতিষ্ঠায় উদ‍্যগী হয়ে তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘোরতর শত্রুতে পরিণত হন এবং রাজপুত, জাঠ, বুন্দেলা, সৎনামি প্রভৃতি জাতিগোষ্ঠি তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। তিনি রাজপুতদের সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হন। ভ্রান্ত দাক্ষিণাত‍্য নীতির ফলে তাকে তার জীবনের শেষ পঁচিশ বছর দাক্ষিণাত‍্যে এক অন্তহীন ও নিষ্ফলা যুদ্ধে ব‍্যাপৃত থাকতে হয়। 

বৈদেশিক আক্রমণ:

জাতীয় জিবনের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে  নাদির শাহ (১৮৩৯ খ্রিঃ) এবং আহম্মদ শাহ আবদালি-র আক্রমণ (১৭৪৮-৬৮ খ্রিঃ) মুঘল সাম্রাজ‍্যের অস্তিত‍্যের ওপর চরম আঘাত হানে। মুঘলদের পক্ষে আর ফিরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি।  

মুঘল সাম্রাজ‍্য সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী

১। ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য কবে স্থাপিত হয় ?

ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য ১৫২৬ সালে স্থাপিত হয় ।

২। মুঘল সাম্রাজ্যের পতন কবে ঘটে ?

১৭০৭ সালে মুঘল সাম্রাজ্যের পতন ঘটে।

Post a Comment

0 Comments