ফটোগ্রাফ-কে কীভাবে আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চার উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়?
ইতিহাস পুরনো দিনের কথা। ইতিহাস তথ্যনির্ভর, তাই ইতিহাসের কথা লিখতে গেলে পড়তে গেলে আমাদের বিভিন্ন উৎস থেকে বিভিন্ন প্রকারের তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। বলা বাহুল্য, ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহ করার উপাদান বহু, ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে ব্যাপক।
কিন্তু সব সময় ইতিহাস সংগ্রহ করার উপাদান একই রকম হয় না। বিভিন্ন সময়ের ইতিহাস সংগ্রহের উপাদান বিভিন্ন রকম।
আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার উপাদান হিসেবে বেশ কিছু উপাদানের নাম করা যায়। সংবাদপত্র, চিঠিপত্র, ফটোগ্রাফ বা স্থির-চিত্র তাদের মধ্যে অন্যতম।
আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার গুরুত্বপূর্ণ অবদান হিসেবে ফটোগ্রাফির গুরুত্ব নিচে আলোচনা করা হল -
আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার উপাদান হিসেবে ফটোগ্রাফি গুরুত্ব অপরিসীম। ফটোগ্রাফ বা ছবির মাধ্যমে ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন রকম স্মরণীয় সময় বা মুহূর্তকে পরবর্তী কালের জন্য তুলে ধরে রাখা যায়।
কথায় আছে -
A picture is worth a thousand words
অর্থাৎ, একটি ছবির মূল্য হাজারো শব্দের বেশি ।
ফটোগ্রাফির মাধ্যমে কোন বিশেষ ঘটনা (যেমন অসহযোগ আন্দোলনের সময় / আইন অমান্য আন্দোলনের সময় তোলা ছবি), কোন বরণীয় ব্যক্তির ছবি (যেমন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি), কোন হত্যাকাণ্ডের ছবি (জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের ছবি) সংগ্রহ করে রাখা যায়।
পরবর্তীকালে ইতিহাস বিশ্লেষণের সময় এগুলি হয়ে ওঠে প্রামাণ্য দলিল। বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফ সময়ে সময়ে ঐতিহাসিকদের সাহায্য করে বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে।
আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ফটোগ্রাফি গুরুত্ব:
১। আধুনিক ভারতের ইতিহাস বিশ্লেষণে ফটোগ্রাফি হয়ে উঠতে পারে প্রামাণ্য দলিল।
২। ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ঐতিহাসিকরা বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
তবে ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ফটোগ্রাফি ব্যবহার করার কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। অনেক সময় বিভিন্ন রকম যন্ত্রপাতির কারসাজিতে ফটোগ্রাফি কে বিকৃত করা হয়, এতে ওই ঘটনা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না উপরন্তু সামগ্রিক ইতিহাস চর্চা ব্যহত হয়।
তাই, যে কোনো ফটোগ্রাফির ইতিহাস চর্চার উপাদান হিসেবে গ্রহণ করার আগে ঐতিহাসিকরা অবশ্যই ওই ফটোগ্রাফির যথার্থতা বিচার করে নেন।
0 Comments