পলল ব্যজনী কি? / পলল ব্যজনীর সংজ্ঞা -
মধ্য গতিতে নদীবাহিত পলি, বালি, কাদা প্রভৃতি পদার্থ সঞ্চিত হয়ে হাত পাখার মত যে ভূমিরূপ গড়ে তোলে তাকে পলল ব্যজনী বা পলল শঙ্কু বলে।
পলল ব্যজনী কেন পর্বতের পাদদেশে গড়ে ওঠে ? পলল ব্যজনী পর্বতের পাদদেশে গড়ে ওঠার কারণ -
নদী তার গতিপথে বিভিন্ন গতি নিয়ে চলে। পার্বত্য প্রবাহে নদীর উচ্চগতি দেখা যায়, পার্বত্য অঞ্চল পার করে সে নদীতে মধ্যগতি দেখা যায়।
উচ্চগতিতে মূলত ক্ষয় কাজ করে, ক্ষয় কাজের ফলে নদী পাহাড়ি অঞ্চলের শিলা ক্ষয় করে বয়ে চলে। পার্বত্য অঞ্চলের শেষ হয়ে যাওয়ার পর নদীর ঢাল হঠাৎ করে কমে গেলে নদীয়ার তেমন ক্ষয় কাজ করতে পারে না, একইসঙ্গে নদীর বহন কাজ করার ক্ষমতাও হঠাৎ করে কমে যায়।
তাই, নদী যেসব পদার্থ ক্ষয় করে সেইসব পদার্থ আর বহন করতে পারে না এবং পর্বতের পাদদেশে এইসব ক্ষয়িত পদার্থ অর্থাৎ নুড়ি, বালি, পলি বা শিলাখণ্ড সঞ্চয় করতে শুরু করে। এইভাবে এই সকল পদার্থ সঞ্চিত হতে হতে ত্রিকোণাকৃতির ভূমি ভাগ গঠিত হয়। এই ত্রিকোণাকৃতির বিভাগকে বলা হয় পলল শঙ্কু। অনেক সময় পলল শঙ্কুর আকৃতি হাতপাখার মতন হয় - এই ধরনের ভূমিরূপ কে পলল ব্যজনী বলা হয়। এভাবে পলল ব্যজনী পর্বতের পাদদেশে সৃষ্টি হয়।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : 👉 ইংরেজিতে পলল ব্যজনী কে বলা হয় Alluvial Cone.
উদাহরণ : হিমালয় পর্বতের পাদদেশে বহু পলল শঙ্কুর পলল বা পলল ব্যজনী দেখা যায়।
1 Comments
Thanks
ReplyDelete