লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প (Laxmir Bhardar Prakalpa / Scheme) | কিভাবে আবেদন করবেন | কারা সুযোগ পাবেন

লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প (Laxmir Bhardar Prakalpa) |  কিভাবে আবেদন করবেন | কারা সুযোগ পাবেন

পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হল লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প।

আজকের এই নিবন্ধে আলোচনা করা হবে -

  • লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প কি ?
  • কারা এর জন্য উপযুক্ত ? অর্থাৎ লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে কারা আবেদন করতে পারবেন।
  • লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প কিভাবে আবেদন করবেন ?
  • লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন করতে গেলে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে?
  • যা বৃদ্ধভাতা বা বিধবাভাতা  পাচ্ছেন তারা কি লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন করতে পারবেন?

লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প কি ?

২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক ঘোষিত প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম হলো লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো বাড়ির মহিলাদের হাতে টাকা তুলে দিয়ে তাদেরকে আর্থিক ভাবে সবল করে তোলা।

আনুমানিক ১.৬ কোটি মহিলারা এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হবেন বলে আশা করা হয়েছে।

লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে কারা কত টাকা করে পাবেন?

লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে যারা টাকা পাবেন তাদের মূলত দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

প্রথম ভাগে রয়েছে জেনারেল বা সাধারণ ক্যাটাগরির পরিবারগুলি।

  • সাধারণ / জেনারেল (General) ক্যাটাগরির পরিবারগুলিকে প্রতিমাসে ৫০০ টাকা এবং
  • তপশিলি জাতি ও উপজাতি (SC / ST) পরিবারগুলিকে মাসে ১০০০ টাকা দেওয়ার প্রশ্ন করা হয়েছে এই প্রকল্প।

লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন করতে গেলে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে?

লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন করতে গেলে আপনাকে কিছু ডকুমেন্ট আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে। এই ডকুমেন্টগুলি হল -

  1. স্বাস্থ্যসাথী কার্ড
  2. আধার কার্ড
  3. ব্যাংকের বই

লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে কোথা থেকে আবেদন করা যাবে?

আপাতত, দুয়ারে সরকার কর্মসূচি যেখানে সংঘটিত হচ্ছে সেখান থেকে আপনারা লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য ফোন তুলতে পারেন এবং তা জমা দিয়ে আবেদন করতে পারেন।

তাছাড়া পাড়ায় সমাধান কর্মসূচির মাধ্যমে উপযুক্ত আবেদনকারীরা লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারেন।

অনলাইনে আবেদনের জন্য form এখান থেকে ডাউনলোড করুন -

Download

লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে কিভাবে আবেদন করবেন?

নিম্নলিখিত উপায়ে আপনি লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন করতে পারবেন -

লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন দুই ভাবে করা যাবে। একটি অনলাইনে এবং অপরটি অফলাইনে।

অনলাইনে আবেদন করার জন্য আপনাকে একটি ফর্ম কম্পিউটার থেকে প্রিন্ট আউট করতে হবে এরপর ওই ফরম ফিলাপ করে দুয়ারে সরকারে নির্দিষ্ট জায়গায় জমা দিতে হবে।

আবার অফলাইনে আবেদন করতে গেলে 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচি চলাকালীন সেখান থেকে আবেদনপত্র নিয়ে এসে তারপর ফিলাপ করতে হবে এবং আবার আপনার নিকটবর্তী দুয়ারে সরকার কর্মসূচি যেখানে সংঘটিত হচ্ছে সেখানে ওই আবেদন পত্র এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে।

লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন করার নিয়মাবলী:

লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন করতে গেলে নিম্নলিখিত শর্তগুলি মানতে হবে এবং তার যোগ্য হতে হবে:

  • আবেদনকারীর বয়স ২৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
  • এই প্রকল্পে প্রাপ্য টাকা যোগ্য আবেদনকারীদেরকে সেপ্টেম্বর মাস থেকে পাঠানো হবে।
  • এই প্রকল্পের আবেদন করার সময়সীমা ১৬ ই অগাস্ট থেকে ১৫ ই‌ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
  • প্রকল্পের আবেদন করবেন তার অবশ্যই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকতে হবে।
  • আবেদনকারীদের আধার নম্বর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা বাধ্যতামূলক।
  • আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
  • লক্ষীর ভান্ডার আবেদনপত্রের সঙ্গে আবেদনকারীকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যেমন আধার কার্ড, ব্যাংক এর পাস বইয়ের ফটোকপি এবং অন্যান্য ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে।

কারা কারা লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন এর উপযুক্ত নয়?

যদিও বেশির ভাগ মহিলারাই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন এর উপযুক্ত তবুও আপনি যদি নিম্নলিখিত শর্তাবলী আওতায় পড়েন তাহলে আপনি লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

  • লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদনকারী মহিলারা সরকারি চাকরি বা কোন স্থায়ী চাকরি করলে অথবা তারা পেনশন মুভি হলে এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন না।

যা বৃদ্ধভাতা বা বিধবাভাতা পাচ্ছেন তারা কি লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন করতে পারবেন?

না। যারা বৃদ্ধভাতা বা বিধবাভাতা পাচ্ছেন তারা লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন করতে পারবেন না।

একনজরে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প :

প্রকল্পের নাম -

পশ্চিমবঙ্গ লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প

চালু করা হয়েছে -

পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বারা

প্রকল্প চালু করার সময় (বছর) -

২০২১

উপযুক্ত আবেদনকারী -

বাড়ির প্রধান - মহিলারা

উদ্দেশ্য -

বাড়ির মহিলাদেরকে অর্থনৈতিক হবে সবল করে তোলা

মোট অনুমোদিত অর্থমূল্য -

১২৯০০ কোটি টাকা


Post a Comment

0 Comments